চুলে রং করা এখনকার সময়ের খুব জনপ্রিয় একটি ফ্যাশন বলা যায়। সবুজ, নীল, সোনালি, বাদামি রং করতে দেখা যায় অনেককে। এসব রং করানোর আগে বা পরে চুলের নিতে হয় বিশেষ যত্ন। আর যত্ন না নিলেই চুল বিবর্ণ তো হবেই, সঙ্গে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে ঝরতে শুরু করবে। তাই যাদের চুলে রং করিয়েছেন, তারা কিছু ঘরোয়া টেকনিক মেনে চললেই দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন আপনার প্রিয় রঙিন চুল। এ বিষয়ে ফেমিনা ডটইন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘জেসিবি স্যালন্স প্রা. লি.’য়ের সৃজনশীল পরিচালক সোনালি ভিমানি জানান, রং করা চুলে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না।
চলুন জেনে নিই সেগুলো কী-
যা করতে হবে
- রং করা চুলের জন্য তৈরি এমন উন্নত মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভালো। এতে এমন উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যা চুলের রঙের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
- চুল ধোয়ার জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি চুলের রং ও প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে অল্প সময়ে চুল বিবর্ণ করে ফেলে।
- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি রং হালকা করে দেয়। এর জন্য টুপি পরা বা দীর্ঘ সময় সূর্যালোক এড়িয়ে চলা রং করা চুলের জন্য প্রয়োজন।
- চুল গভীর থেকে কন্ডিশনিং করলে রং ও আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। ফলে চুল সুস্থ থাকে। রং করা চুল বেশি ছিদ্রযুক্ত যা সহজেই ভেঙে যায়। তাই আর্দ্রতা ধরে রাখা জরুরি।
- চুলের রং ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত পার্লারে গিয়ে ‘টাচ আপ’ করাতে হয়। পুনরায় রং করা চুলের মলিন ভাব ও অসামঞ্জস্য দূর করতে সহায়তা করে।
যেসব কাজ করা যাবে না
- ঘন ঘন চুল ধুলে রং হালকা হয়ে যায়। আর প্রাকৃতিক তেলও শুষে নেয়। এক দিন পরপর বা কম চুল ধোয়া এবং এর মাঝের সময়ে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করা উপকারী।
- সালফেট ও অ্যালকোহল-সমৃদ্ধ কড়া উপাদান রং করা চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এতে চুল শুষ্ক ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। তাই প্রসাধনী কেনার আগে উপকরণের তালিকা ভালো করে দেখে নিতে হবে।
- হেয়ার ড্রায়ারের মতো তাপ দেওয়া স্টাইলিং যন্ত্র চুলের রঙের ক্ষতি করতে পারে। তাই চুল কোঁকড়া বা স্ট্রেইট করতে তাপীয় যন্ত্র ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
- ক্লোরিনযুক্ত পানি চুলের রং হালকা ও বিবর্ণ করে দেয়। চুল ভিজিয়ে ‘লিভ ইন কন্ডিশনার’ মেখে সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে যাওয়া নিরাপদ।
- রং করা চুলে চাই কিছুটা বাড়তি যত্ন। তাই চুলের ফ্যাশন ঠিক রাখার জন্য ওপরের বিষয়গুলো মেনে চললে উপকার পাওয়া যাবে।