সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েরাই বেশি সতর্ক থাকে। তারা সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়েও অনেক দূর ভেবে ফেলে। সম্পর্কটি যাতে সুরক্ষিত থাকে তার নিশ্চয়তা চায় প্রেমিকের কাছে। অর্থাৎ বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহবান বেশিরভাগই আসে প্রেমিকার কাছ থেকে। এদিকে অনেক প্রেমিক আছে যারা বিয়ের কথা শুনলেই বিরক্ত হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রেমিক ছেলেটি কিছুটা সময় নিতে চায়। এদিকে প্রেমিকা তার হারানোর ভয় থেকে ঘুরেফিরে বিয়ের প্রসঙ্গেই এসে থামে। দু’জনের দুই রকম মতের কারণে বিষয়টি এক সময় জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তখন সম্পর্ক থেকে প্রেম চলে গিয়ে ঝগড়া-ঝাটি জায়গা করে নিতে পারে। আপনার প্রেমিক যদি বিয়েতে আপত্তি জানায় তবে বিষয়টি এভাবে সহজ করে নিন-
সরাসরি বলুন
আপনার কোনো কথাই ঘুরিয়ে-পেচিয়ে বলবেন না। বিয়ের কথা বলতে চাইলে সরাসরি বলুন। সে কী বলে তা মন দিয়ে শুনুন। তার কথা বোঝার চেষ্টা করুন। মেয়েরা সব সময় মনের কথা সহজে বলতে পারে না। কিন্তু আপনি যদি বিয়েতে আগ্রহী হন তাহলে প্রেমিককে তা সরাসরি বলে ফেলাই ঠিক হবে। নয়তো সমস্যা বাড়বেই। তাই এক্ষেত্রে রাখঢাক করার প্রয়োজন নেই।
কারণ জানুন
প্রেমিক কেন বিয়েতে আপত্তি জানাচ্ছে তার পেছনের কারণগুলো জেনে নিন। হতে পারে সত্যিই সে এই মুহূর্তে বিয়ের সম্পর্কে জড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। পারিবারিক, আর্থিক বা মানসিক কোনো বিষয় নিয়ে সে সত্যিই সমস্যায় আছে কিনা তা জানুন। কোনো কারণ ছাড়া আপত্তি জানালে তা মোটেই ভালো কোনো লক্ষণ নয়। হয়তো সম্পর্কের বিষয়টিকে সে হালকাভাবে নিয়েছে।
সে কি সিরিয়াস?
সম্পর্কে সে কি আদৌ সিরিয়াস? যদি তাই হয়, তবে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। সে সব সময় নিজের মতো করে দায়িত্ব পালন করতে চাইবে। তবে অনেকে আবার এক্ষেত্রে সিরিয়াস হয় না। তাই আগে তার কাছ থেকে জেনে নিন সে কতটা সিরিয়াস। যদি না হয়, তবে সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ানো যাবে কিনা সেটি আরেকবার ভেবে দেখবেন।
তাকে বলুন আপনার বাড়িতে জানিয়েছেন
আপনার বাড়িতে সম্পর্কের বিষয়টি জানিয়ে থাকলে তা আপনার প্রেমিককে জানান। আপনার পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে সেকথাও জানান। আপনার করণীয় জানতে চান। সে কী চায়, তা স্পষ্ট করে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সে আপনাকে ধরে রাখতে চায় তবে বিয়ের প্রতি তার আগ্রহ দেখতে পাবেন।
ছেড়ে যাওয়ার ভয় দেখান
তার কাছে দোদুল্যমান হয়ে খুব বেশিদিন যে থাকা যাবে না, একথা তাকে জানান। সে হয়তো আপনাকে ঝুলিয়ে রেখে এক ধরনের আনন্দ পাচ্ছে। কিন্তু নিজেকে কারও কাছে ‘অপশন’ হতে দেবেন না। নিজের মূল্যায়ন করুন। যদি সে আপনাকে সত্যিই চায় তবে যেন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, সেকথা তাকে জানান।