বন্ধুকে সান্ত্বনা দেওয়া, সাহস জোগানো এসব কেবল প্রকৃত বন্ধুরাই করে। যে দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়ায়, ভালো বন্ধু তাকেই বলা হয়। কিন্তু আপনার বন্ধুটি যদি বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যায়, তাহলে আপনার কী বলা উচিত তা অনেক সময় সেটি আপনার জিন্য বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ে। শুধু আপনার একার নয়, এই সমস্যায় এই সমস্যার সমাধান দিয়েছে রিডার্স ডাইজেস্ট নামক একটি ওয়েবসাইট। চলুন দেখে নেওয়া যাক বন্ধুর বিবাহবিচ্ছেদের সময় কী বলবেন, আর কী বলবেন না।
বন্ধুর ডিভোর্স
১. সন্তানদের কী হবে : যখন বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে, তখন যে কেনো মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে। কেননা এটা শুধু দুটি মানুষের মধ্যে বিচ্ছেদ নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সন্তান ও দুই পরিবার। তাই এমন অবস্থায় বন্ধুর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না। তাহলে সে আরো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়বে। অনেক সময় বিবাহবিচ্ছেদ শিশুদের জন্য মঙ্গলজনক হয়। কেননা বিবাহবিচ্ছেদ তখনই হয়, যখন মনের মিল থাকে না। এমন অবস্থায় সঙ্গীর সঙ্গে কলহ লেগেই থাকে, যা শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
২. আমাদের সঙ্গে এমনটা হয়নি : আপনি যখন এই কথাটি বলবেন তখন আপনার বন্ধু নিজের কাছে ছোট হয়ে যাবে, অনুতপ্ত অনুভব করবে। বরং তাকে বোঝান যে এই সম্পর্ক থাকলে সে আরো কষ্ট পেত।
৩. সঙ্গীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলে কী : আপনার বন্ধু যখন বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন এই ধরনের প্রশ্ন করা খুব বোকামি। এই ধরনের প্রশ্নের ফলে আপনার বন্ধু মনে করবে সে তার সম্পর্ক রক্ষা করতে ব্যর্থ। ফলে আরো বিমর্ষ হয়ে পড়বে।
৪. কেমন করে এমন হলো : আপনার বন্ধুর বিবাহবিচ্ছেদ কেমন করে হলো তা জানার আগ্রহ থাকতেই পারে। কিন্তু যেহেতু বিষয়টি স্পর্শকাতর, তাই এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার আগে বন্ধুর মানসিক অবস্থা বুঝুন। অনেক সময় তারা মুখে হাসি প্রদর্শন করলেও অন্তরে চাপা কষ্ট লুকায়িত থাকে। তাই পারত পক্ষে এই ধরনের প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. তার কাছ থেকে সব কেড়ে নাও : ‘আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করো এবং তার কাছ থেকে সব ছিনিয়ে নাও।’ বন্ধুর এই দুর্দিনে এই ধরনের পরামর্শ দেবেন না। মনের মিল না হলে পরিণতি একসময় বিবাহবিচ্ছেদই হয়। কিন্তু তাই বলে এই খারাপ সময়ে তাকে অযাচিত পরামর্শ দেবেন না। সে আরো উত্তেজিত হয়ে যেতে পারে।