ইসলামিক সঙ্গীত জগতে আবু রায়হান মানেই ভিন্ন কিছু। খুব সহজেই দর্শক-শ্রোতাদের মন জয় করতে পারেন তিনি। ইসলামিক সঙ্গীতপ্রিয় মানুষদেরকে মুগ্ধ করে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙেন আবু রায়হান।
শিল্পী আবু রায়হানের ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আনতাল মাওলা’ নাশিদটি এখন দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে। মুক্তির কয়েক দিনের ভেতরেই নাশিদটি দেখেছেন প্রায় পাঁচ লাখ দর্শক। এই নাশিদ রিলিজ হওয়ার পরে আবু রায়হান কুড়াচ্ছেন ব্যাপক প্রশংসাও।
‘হৃদয়ের ডালে ডালে পাপের বাসা, আবিলতা ঘেরা চারপাশ’ পঙক্তি দিয়ে শুরু হওয়া নাশিদটি প্রথমেই শ্রোতাদের হৃদয়ে নিজের পাপবোধ জাগাবার চেষ্টা করেছে। ‘নফসের রোগব্যাধি ভয়াল রূপে, করে যায় আঁধারের চাষ’ পঙক্তি যোগে সে পাপবোধকে রীতিমতো উস্কে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অতঃপর ‘গুনাহর ক্ষত যত করে দাও সাফ, রাঙাও এ হৃদয়ের তীর…. আনতাল মাওলা আনতাল বাছির নি’মাল মাওলা নি’মান নাছির’ পঙক্তির মাধ্যমে সমর্পিত হৃদয়ে আল্লাহ তাআলার দিকে টেনে আনা হয়েছে।
গানটির ভিডিওতেও রয়েছে গভীর আবেদন। অসাধারণ চিত্রনাট্য। পাহাড়ি অঞ্চলে যারা মানুষকে ঈমানের দিকে আহ্ববান করে, তাদের জীবন বড় বিপদসঙ্কুল। সেখানে অনেক মতবাদের দাওয়াত রয়েছে। ইসলামের দাওয়াতকে অন্যরা অশনি সংকেত জ্ঞান করে। সেজন্য ইসলামের ফেরিওয়ালাদের তারা হত্যা করে। এমন একটি আবহের মধ্য দিয়ে ভিডিওটি এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। যেন প্রচ্ছন্নভাবে ওমর ফারুক ত্রিপুরার হত্যাকাণ্ডই স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।
আবু রায়হান নাশিদটির মাধ্যমে একটি উন্মুক্ত আকাশ চেয়েছেন। চেয়েছেন শ্বাস নেয়ার মতো বিমল বাতাস। বিচরণের মতো অভয়ারণ্য ভূমি। যেন হেদায়েতের বার্তা ছড়ানো যায়। সমর্পিত হওয়া যায় পরম সেজদায়। এ ব্যাপারে কলরবের সিনিয়র এ শিল্পী বলেন, ‘এমন কাহিনি বেইজড নাশিদ ইসলামী সঙ্গীত অঙ্গনে খুবই কম। সেজন্য বিপুল পরিমাণে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে।’
দারুণ এ নাশিদের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে আবু রায়হান বলেন, ‘আমি আশা করি, এই নাশিদটি ইসলামী সঙ্গীতের অঙ্গনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।’
‘আনতাল মাওলা’ টাইটেলের জনপ্রিয় এ নাশিদের গীতিকাব্য লিখেছেন তারেক আল মাহদী। সুর করেছেন এইচ আহমাদ। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন তানজিম রেজা। ভিডিও গ্রাফি করেছেন এই আল হাদী