ধূমপানের কারণে ঠোঁট স্বাভাবিক রং হারায় ও ধীরে ধীরে কালচে হতে শুরু করে। এটি ঠোঁট কালো হওয়ার অন্যতম এক কারণ। তবে আরও কয়েকটি কারণ আছে অর্থাৎ কিছু রোগ আছে যার কারণেও ঠোঁটে পড়ে কালচে দাগ।
এমনকি ঠোঁটের যত্ন না নিলেও রং পরিবর্তন হতে পারে। তবে যে কারণেই ঠোঁট কালো হোক না কেন, তা অবহেলা করবেন না। কারণ ক্যানসারের লক্ষণ হিসেবেও এটি দেখা দিতে পারে।
কোন কোন রোগে ঠোঁট কালো হয়?
ভিটামিনের ঘাটতি
শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলে ঠোঁটের রং পরিবর্তন হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি হলে ঠোঁটের কোণে কালচে দাগ পড়ে। এই ভিটামিনের অভাবেই শরীরে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বাসা বাঁধে।
অ্যাডিসনস
অ্যাডিসনস নামক রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিসোল ও অ্যালডোস্টেরন নামক হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ফলে দেহের বিভিন্ন অংশ কালো হয়ে যায়। ঠোঁটেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
ডিহাইড্রেশন
শরীরে পানির ঘাটতি থাকলেও ঠোঁটের রং পরিবর্তন হতে পারে। এক্ষেত্রে ঠোঁ কালচে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁট ফাটার লক্ষণও দেখা যায়।
ক্যানসার
ঠোঁটের কালো দাগ ক্যানসারেরও লক্ষণ হতে পারে। যদি এই দাগ ধীরে ধীরে গাঢ় হয়, রক্তপাত কিংবা ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মেলানোমা ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে ঠোঁটের কালচে দাগছোপ।
থাইরয়েড
শরীরে থাইরক্সিন হরমোনের ক্ষরণ কমে গেলে কিংবা বেড়ে গেলেও শরীরের বিভিন্ন অংশে দাগছোপ দেখা যায়। ঠোঁটের উপরেও এর প্রভাব পড়ে। তাই ঠোঁটে কালচে দাগ দেখলে একবার থাইরয়েড পরীক্ষা করাতে ভুলবেন না।
গর্ভাবস্থায়
গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও নারীদের ঠোঁট কালো হতে পারে। এছাড়া হরমোনজনিত ওষুধ যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপির কারণেও হতে পারে ঠোঁট কালো।
অ্যালার্জি
লিপস্টিক কিংবা লিপবাম ব্যবহারের কারণে অ্যালার্জির সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে পরবর্তীতে ঠোঁটের রং কালচে হতে পারে।
হেমোক্রোমাটোসিস
অনেনকেই বংশগতভাবে হেমোক্রোমাটোসিস নামক সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে তাদের শরীর খাবার থেকে খুব বেশি আয়রন শোষণ করে রাখে। এর ফলে ত্বক ও ঠোঁট আরও কালচে হয়ে যায়।
ঠোঁট কালচে হয়ে যাওয়ার লক্ষণ শারীরিক বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। তাই এ নিয়ে অবহেলা করবেন না। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করুন। এতে ধীরে ধীরে ঠোঁটের কালচে দাগ কমে যাবে।
সূত্র: হেলথলাইন/মেডিকেল নিউজটুডে