শিশুরা তো বড়দের মতো নয়। তাদের যখন-তখন প্রস্রাব বা পায়খানা করার প্রয়োজন হতে পারে। আর একথা তারা নিজে থেকে বলতেও পারে না। এক্ষেত্রে মা-বাবাকে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতেই প্রয়োজন পড়ে ডায়াপারের। একবার ডায়াপার পরিয়ে রাখলে অনেকটা সময়ের জন্য নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।
এদিকে অনেকে শিশুকে দীর্ঘ সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। বাজারে যেসব ডায়াপার কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো ৪-৫ বার ভেজা পর্যন্ত পরানো সম্ভব হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ডায়াপার পরে থাকার কারণে শিশুর শরীরে কিছু সমস্যা হতে পারে। সেইসঙ্গে তাদের অস্বস্তিও শুরু হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুকে দীর্ঘ সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখলে কোন ক্ষতিগুলো হতে পারে-
টক্সিটি হতে পারে
শিশুর ব্যবহৃত ডায়াপার সাধারণত সিন্থেটিক ও নানা ধরনের রাসায়নিকের সাহায্যে তৈরি করা হয়। এই ডায়াপার দীর্ঘ সময় পরিয়ে রাখলে শিশুর শরীরে ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলা বিছানা ভেজার ভয়ে শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে রাখেন অনেকেই। এতে একটানা অনেকটা সময় শিশুর ত্বক রাসায়নিকের সংস্পর্শে থাকে। যা শিশুর শরীরে টক্সিটি বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে শিশুকে সারারাত ডায়াপার পরিয়ে রাখা যাবে না।
ইনফেকশন
প্রস্রাব শোষণ করতে পারে এমন উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় শিশুর ডায়াপার। সেইসঙ্গে বাতাস চলাচলও কমে যায়। আর্দ্র ও উষ্ণ পরিবেশে ব্যাক্টেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু বাসা বাঁধে। যে কারণে শিশুর ত্বকে সংক্রমণ হয়। যে কারণে ডায়াপার ঘন ঘন বদলাতে হবে। নয়তো শিশুর ত্বকে র্যাশ দেখা দেবে। অতিরিক্ত ময়েশ্চার ও দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাবের কারণে এ সমস্যা হয়। ডায়াপার পরিহিত স্থানে শিশুর জ্বালাপোড়া হতে পারে।
অ্যালার্জি
শিশুর ত্বক অত্যন্ত কোমল হয়। এদিকে ডায়াপারে থাকে ক্ষতিকর সিন্থেটিক ফাইবার, ডাই ও অন্যান্য কঠোর রাসায়নিক উপাদান। যে কারণে একটানা ডায়াপার পরিয়ে রাখলে শিশুর র্যাশ, অ্যালার্জি, চুলকানির সমস্যা হতে পারে। শিশুরা অনেক সময় ডায়াপার পরানোর পরপরই কান্না শুরু করে। এর কারণ হলো এতে তাদের কোনো না কোনো সমস্যা হয়। তাই শিশুকে জোর করে ডায়াপার পরাবেন না।