কফি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। ক্লান্তি কাটাতে কফির জুড়ি মেলা ভার। মুহূর্তেই সতেজ হয়ে উঠতে গরম কফির মগে চুমুক দেন অনেকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৪০০মিলির বেশি কফি খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু সমস্যা শুরু হয়, যখন কেউ কেউ ক্যাফেইন অ্যাডিকটেড হয়ে পড়ে।
অতিরিক্ত কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খেলে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন এবং অস্থিরতা বা অ্যাংজাইটি। ক্যাফেইনের প্রধান সোর্স যে কফি, এটা তো আমরা প্রায় সবাই জানি। কিন্তু এমনকিছু খাবার রয়েছে, যার ভেতরে লুকিয়ে থাকে ক্যাফেইন। আমরা প্রতিদিন সেই খাবারগুলো খেলেও জানি না যে, এই খাবারগুলোতে ক্যাফেইন রয়েছে। এমনই ৫ খাবারের সন্ধান জানিয়েছে এই সময়-
চকোলেট: কোকো বিনসে প্রাকৃতিক ক্যাফেন থাকে। ফলে আপনার পছন্দের চকোলেটেও যথেষ্ট ক্যাফেইন আছে। মিল্ক চকোলেটে ক্যাফেইনের পরিমাণ কম থাকলেও, ডার্ক চকোলেটে ১০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেন মজুত থাকে। এমনকি চকোলেট আইসক্রিমেও থাকে ক্যাফেইন।
কোমল পানীয়: বিভিন্ন রকমের কোমল পানীয়তেও থাকে প্রচুর ক্যাফেইন। বোতল প্রতি ২৩ থেকে ৪১ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। এমনকি জিমের ওয়র্কআউট সেশনের পর যে এনার্জি ড্রিংকের বোতলে চুমুক দেন সেটিও ক্যাফেইন ফ্রি নয়।
আইস টি: শুধু কফি নয়, চায়েও থাকে অল্প ক্যাইফেন। এমনকি আপনার পছন্দের ফ্লেভারড আইস টিতেও রয়েছে ক্যাফেইন। প্রতি ৫০০ মিলিতে প্রায় ৪২ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে।
পেইনকিলার: অনেক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে মাথাব্যথা অথবা জয়েন্টে ব্যথা হলে আমরা পেইনকিলার খেয়ে থাকি। কিন্তু এসব পেনকিলারেও থাকে ক্যাফেইন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে সামান্য পরিমাণে ক্যাফেন ব্যথা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। এরই ভিত্তিতে পেনকিলারে ক্যাফেইন যোগ করা হয়।
মাউথ ফ্রেশনার: চুয়িংগাম বা বিভিন্ন রকমের মাউথ রিফ্রেশিং গাম প্রায়ই চিবিয়ে থাকেন? জেনে রাখুন, এতেও রয়েছে ক্যাফেইন। কিছু চুয়িংগামে যে পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে তা এককাপ কফির সমান। পরের বার কোনো মাউথ রিফ্রেশিং গাম কেনার আগে একবার লেবেল ভালো করে দেখে নেবেন।