ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে সুখে সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখেন প্রতিটি মানুষ। কেউই চায় না তার যত্নে গড়া প্রেমের সম্পর্ক এক মুহূর্তেই ভেঙে যাক।
তবে কল্পনার জগতের সঙ্গে বাস্তবতার হয়তো আদৌ কোনো মিল নেই! তাই তো কখনো কখনো সামান্য কারণেও ভেঙে যায় প্রেমের সম্পর্ক কিংবা বিয়ে।
এ ক্ষেত্রে হয়তো একজন আরেকজনকে দোষারোপ করে বিচ্ছেদ ঘটান। তবে একটি প্রেমের সম্পর্ক যেমন দু’জনের সম্মতিতেই গড়ে ওঠে; ঠিক তেমনই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার দায়ও দু’জনের উপরই পড়ে।
তবে ঠিক কী কী কারণে প্রেম কিংবা বিয়ে বেশিদিন টেকে না? চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ক সম্ভাব্য কয়েকটি কারণ-
সঙ্গীর ভুল ধরার অভ্যাস
বিভিন্ন বিষয়ে সঙ্গীর ভুল ধরার অভ্যাস আছে অনেকেরই। যা খুবই খারাপ অভ্যাস। একেকজনের চিন্তা-ভাবনা ও মতাদর্শ ভিন্ন, তাই সঙ্গীর ব্যক্তিত্ব নিয়ে কখনো প্রশ্ন তুলবেন না।
এমনকি তার চেহারা, চলাফেরা, কথাবার্তা ইত্যাদি পরিবর্তন করা বা যেকোনো বিষয়ে খুঁত ধরার আগে দু’বার ভাবুন।
সঙ্গীর অবস্থান ছোট করে দেখা
বর্তমান দেখে কখনো কারও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানা যায় না। তাই সঙ্গীর অবস্থান ছোট হলেও সেটি মেনে নিন। তাকে ভালো কিছু করার উৎসাহ দিতে হবে। তাই বলে তাকে অবজ্ঞা বা হেয় প্রতিপন্ন করবেন না।
আস্থা না রাখা
একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের আস্থা, ভরসা ও ভালোবাসার ওপর নির্ভর করে। সঙ্গী যাতে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করুন। আপনি যদি সম্পর্কে সৎ থাকেন; তাহলে আপনার সঙ্গীও কখনো আপনার সঙ্গে প্রতারণা করবেন না।
কম যোগাযোগ
কর্মব্যস্ত জীবনে কারও এখন অবসর নেই! তাই বলে জীবনসঙ্গীকে সময় দেবেন না কিংবা তার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখবেন না এমনটি ঠিক নয়।
বর্তমানে বেশিরভাগ ব্রেকআপ ও ডিভোর্সের অন্যতম কারণ হলো যোগাযোগে অনীহা বা কম যোগাযোগ। আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, সঙ্গীর খোঁজ নিন কিছুক্ষণ পরপরই।
সঙ্গীকে সময় না দেওয়া
সঙ্গীকে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়ার কারণেও কিন্তু আপনার প্রেম বা বিয়ে ভেঙে যেতে পারে। জীবনসঙ্গীর ভালো-মন্দকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবেই একটি সম্পর্ক বিকশিত হবে।
নিজেকে নিয়ে অহংকার করা
বেশিরভাগ সম্পর্কই অহংকার বা নার্সিসিজমের কারণে ভেঙে যায়। নিজের আদর্শকেই শ্রেষ্ঠ ভাবার অভ্যাস ত্যাগ করুন। সঙ্গীর সিদ্ধান্ত এমনকি তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন। নিজের সিদ্ধান্ত কখনো কারও উপর চাপিয়ে দেবেন না।
আর্থিক সমস্যা
আর্থিক সমস্যার কারণেও বেশিরভাগ সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভবিষ্যতে অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হতে পারে এ ভেবেই বেশিরভাগ মানুষ এমন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া