যখন আমাদের চারপাশের সবকিছু এগিয়ে যায়, আমরা তখন একই জায়গায় স্থির হয়ে পড়ে থাকি, যা একেবারেই ভাল নয়।
এই লেখায় আমরা এমন কিছু পরামর্শ দিলাম, যা আপনি অনুসরণ করে দেখতে পারেন যখন আপনার জীবনে প্রেরণার অভাব বোধ করবেন। দেখবেন কত সহজেই আপনি আপনার সত্তা ফিরে পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন।

এমন একজন মানুষ নিশ্চয়ই আছেন যার আপনাকে ভাল লাগে
যে সব জিনিস আপনার মন কে ভারাক্রান্ত করে তোলে, সে সব জিনিস নিয়ে একেবারেই ভাববেন না। বরং যাদের সঙ্গ পেলে আপনি আনন্দ বোধ করেন, তাদের সঙ্গে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ, কে জানে হয়ত সেখানে এমন মানুষ আছে যার কাছে হয়তো আপনার সব ক্রিয়াকলাপই চমৎকার লাগে।

নিজেকে বিচার করার অধিকার অন্যদের দেবেন না
আপনাকে বিচার করার অধিকার কারোর নেই, এটা মনে রাখবেন। এমনকি আপনার বাবা-মা এবং বন্ধুবান্ধবেরও নেই। যে সব লোকেরা আপনার খারাপ-ভালো দুটো দিক সম্বন্ধেই অবগত, তাদের ব্যাখ্যা দেওয়া নিষ্প্রয়োজন। আর যারা আপনাকে না চিনেই, ভাল করে না বুঝেই খারাপ-ভালোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন, তাদের আপনাকে বিচার করার কোনো অধিকার নেই।

মানুষের মতামতে খুব বেশি গুরুত্ব দেবেন না
আপনি কতটা বাঞ্চনীয়, এই মতামতে অধিকাংশ মানুষই যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় না। তাহলে তাদের মতামতেরও গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন আপনার নেই।

আপনি সমাজে যা হতে দেখেন, তা সব সত্যি নয়
আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত যা ঘটছে তা সবই সত্যি বা নিখুঁত নয়। বহু মানুষ তাদের দুঃখের দিনগুলোর ছবি অন্যের সাঙ্গে ভাগ করেন না। তাই, এটা কখনোই মনে করবেন না যে পৃথিবী একটি নিখুঁত জায়গা যেখানে শুধু আপনিই অবাঞ্চিত। মানুষ নিজের ছন্দে চলে। ফলে সাফল্যের কোনো বিশেষ বয়স বা সময় থাকে না। এটা ভাগ্য এবং কঠোর পরিশ্রমের ফল। এর অর্থ এই নয় যে, আপনার সহকর্মী এবং ভাইবোনেরা সাফল্যের শিখর স্পর্শ করে ফেলেছে মানে আপনি আর কখনোই সাফল্যের স্বাদ পাবেন না। ধৈর্য ধরলে নিশ্চই তার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন না আপনিও। সুতরাং, যখনই মনমরা এবং অবাঞ্চিত মনে হবে, তখন নিজেকে প্রফুল্ল রাখতে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। কিভাবে আপনি নিজেকে আরও উৎপাদনশীল এবং নিজের দক্ষতার সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন, সেদিকে বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে।