Connect with us

লাইফ স্টাইল

বদহজমের ঘরোয়া প্রতিকার

পেটে সমস্যা হলে কেমন লাগে তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। বদহজম এমনই একটি পেটের সমস্যা। পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে প্রবাহিত হলে বদহজম হয়। ভালোভাবে চিকিৎসা না করলে পেট ফাঁপা, ব্যথা, ভারী হওয়া এবং এমনকী বমি বমি ভাবের মতো অস্বস্তি হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি ওষুধের উপর পুরোপুরি নির্ভর করতে পারবেন না কারণ তা দীর্ঘমেয়াদে খুব বেশি সহায়ক নাও হতে পারে। তাই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই পেট শান্ত করার জন্য বদহজমের কারণ ও প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার জানা জরুরি।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বদহজম প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায়-

 

বেকিং সোডা

বদহজমের কারণ হতে পারে অতিরিক্ত অ্যাসিডের মাত্রা। মটরশুটি, বাঁধাকপি, দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং পেঁয়াজের মতো কিছু খাবারের ফলে বদহজম হয়। বেকিং সোডায় সোডিয়াম বাইকার্বোনেট রয়েছে যা পেটের অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করতে অ্যান্টাসিড হিসাবে কাজ করে। সোডিয়াম বাইকার্বোনেট হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড দ্বারা পাকস্থলীর অ্যাসিডের প্রভাব ভেঙে দেয়। এটি পাচনতন্ত্রকে ডিটক্সিফাই করে যা বদহজম থেকে মুক্তি দেয়। পানি, মধু এমনকি লেবুর সঙ্গেও বেকিং সোডা মিশিয়ে খেতে পারেন, যেটি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হয়। এটি বদহজমের প্রতিকার হিসেবে বেশ কার্যকর।

আপেল সাইডার ভিনেগার

আপেল সাইডার ভিনেগার বদহজমের সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকারের একটি। আপনি যদি হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এটি আপনার জন্য হতে পারে চমৎকার ঘরোয়া উপায়। এটি ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজের একটি চমৎকার উৎস, যা হজমে সাহায্য করে। ভিনেগার অ্যাসিডিক প্রকৃতির যা চর্বি ভেঙে দেয়, অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধ করে। আপেল সাইডার ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড তার পাচক গুণাবলীর কারণে বদহজম নিরাময়ে সাহায্য করে।আপেল সাইডার ভিনেগার পানি বা মধুর সঙ্গে খেতে পারেন।

মৌরি

মৌরিতে ফেনকোন এবং এস্ট্রাগোলসহ কিছু যৌগ থাকে যা অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে গ্যাস প্রতিরোধ বা অপসারণ করতে কাজ করে। এই তেলগুলো গ্যাস্ট্রিক রসের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে একটি মসৃণ হজম প্রক্রিয়া শুরু করে। এতে অ্যান্টিস্পাসমোডিক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা শ্বাসযন্ত্র, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের রেখাযুক্ত পেশী কোষগুলোকে শিথিল করতে সহায়তা করে।

আদা

আদা দীর্ঘদিন ধরে বদহজম নিরাময়ের প্রতিকার হিসেবে পরিচিত। এতে জিঞ্জেরলসহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বদহজম এবং বমি বমি ভাব দূর করতে কাজ করে। এর ফেনোলিক যৌগ গ্যাস্ট্রিক সংকোচন কমাতে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়। আদা প্রদাহ কমাতেও পরিচিত।

ধনিয়া

ধনিয়া অ্যান্টিস্পাসমোডিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত যা আপনাকে পেট খারাপ বা বদহজম থেকে মুক্তি দেয়, হজম প্রক্রিয়াকে আরও উদ্দীপিত করে। ধনিয়াতে ইউরেন্ড্রল নামক একটি এসেন্সিয়াল অয়েল থাকে যা লিভারকে ডিটক্সিফাই করে।

More in লাইফ স্টাইল