Connect with us

লাইফ স্টাইল

টেনশন হলেই বাথরুমের চাপ? যেসব খাবার বাদ দেবেন

এটি একটি পরিচিত সমস্যা। এমন অনেককেই দেখবেন, যারা সামান্য টেনশন কিংবা চাপেও বারবার বাথরুমে যায়। অর্থাৎ টেনশনের মুহূর্তে তাদের মলত্যাগের চাপ চলে আসে। এটি সাধারণ মনে হলেও আসলে কিন্তু তা নয়। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকা জরুরি। এই সমস্যার নাম আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম।

আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই বেশিরভাগেরই। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইবিএস-এ আক্রান্ত ব্যক্তির বৃহদন্ত্র খুব স্পর্শকাতর ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে পেটে যেসব সমস্যা বোঝা যায় নাম আইবিএস-এ আক্রান্ত ব্যক্তিরা সেগুলো বুঝতে পারেন।

আইবিএস-এ আক্রান্ত হলে পেটে সব সময়ই অস্বস্তি থাকে। সামান্য টেনশন হলেও পায়খানার চাপ চলে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমের চাপ চলে আসে। এই সমস্যায় রোগীকে এই ৫ খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা-

কাঁচা মরিচ

কাঁচা মরিচের ভেতরে ক্যাপসিসিন নামক একটি উপাদান থাকে। এই উপাদান আইবিএস-এ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তারা বিষয়টি মাথায় রাখুন। এক্ষেত্রে কেবল কাঁচা মরিচই নয়, বাদ দিতে হবে ক্যাপসিকামও।

পেয়ারা

পেয়ারা উপকারী একটি ফল। এই ফলে থাকে ফাইবার ও ভিটামিন সি। এছাড়া থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কিন্তু আইবিএস রোগীদের ক্ষেত্রে পেয়ারা উল্টো কাজ করে। তারা পেয়ারা খেলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে পেয়ারার বীজ সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তারা পেয়ারা থেকে দূরে থাকবেন।

পটল

আইবিএস এর সমস্যা থাকলে পটল খেলেও বাড়তে পারে অসুখ। পটলের বীজ থেকে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে পটলের বীজ ফেলে রান্না করলে আর সমস্যা হয় না। তাই এই সমস্যায় আক্রান্তরা পটল খেতে চাইলে বীজ ফেলে খাবেন। এতে রোগের বাড়াবাড়ি হবে না। আবার পটলেরও পুষ্টিগুণও পাবেন।

আপেল

অনেক উপকারী খাবারও আইবিএস-এ আক্রান্ত রোগীর জন্য ক্ষতিকর। তেমনই একটি খাবার হলো আপেল। আপেলের খোসা থেকে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে আইবিএস-এ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে। তাই এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হলে আপেলের খোসা এড়িয়ে যাবেন। আপেল খেতে চাইলে খোসা ছাড়িয়ে তারপর খাবেন।

দুধ

অনেকের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে। আইবিএস-এ আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়মিত দুধ খেলে সমস্যা বাড়তে থাকে। যে কারণে এ ধরনের সমস্যায় দুধ থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়া অন্যান্য দুগ্ধজাত পদার্থ থেকে সমস্যা হলে সেগুলোও এড়িয়ে চলা উচিত।

More in লাইফ স্টাইল